গুরু, গুরুতত্ত্ব ও গুরুবাদ


গুরু পূর্ণিমার পূণ্যতিথিতে মাতৃগুরু, পিতৃগুরু, শিক্ষাগুরু, দীক্ষাগুরু ও অন্যান্য গুরুবর্গকে প্রণাম জানাই। আর, সবাইকে, যাদের থেকে কিছু-না-কিছু শিখেছি, তাদেরকে সকৃতজ্ঞ নমস্কার জানাই।

এই ভারতভূমিতে ‘ধর্মের’ ধারণা তথা ‘ধার্মিক জীবনধারা’ আবহমানকাল থেকে বহমান। এই জীবনধারার প্রধান চারটি ধারা- সনাতন/হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ ও শিখ ধারা। এছাড়া অন্যান্য ধার্মিক ধারা, যেমন, বিভিন্ন জনজাতির জীবনধারা। এসবই এই ভারতের একেবারে নিজস্ব ধারা। এসব নিয়েই যে ‘ভারত জীবনধারা’, তার অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছেন ‘গুরু’। ভারতে গুরুর স্থান ও ভূমিকা সমাজে সংসারে অনন্য। তিনি একই সঙ্গে ইহজাগতিক ও পরজাগতিক তথা আধ্যাত্মিক- সব জগতের সঙ্গেই জড়িত।

গুরু

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, গুরু কে? তার ভূমিকা কি? শুধু কি একজনই গুরু হতে পারেন? গুরু বলতে কি শুধুমাত্র দীক্ষাগুরুকেই বোঝায়? প্রশ্ন অনেক, উত্তরও অনেক। তবু প্রশ্ন থেকে যায়, উত্তরও খুঁজে যেতে হয়।

সংস্কৃত শব্দ গুরু। মূল ধাতু ‘গু’ অর্থাৎ অজ্ঞান, অন্ধকার এবং ‘রু’ অর্থাৎ দূর করা- তাই গুরু হলেন ‘অজ্ঞান হরণকারী’। গুরু অন্ধকার থেকে আলোর পথে, অজ্ঞান থেকে জ্ঞানের পথে নিয়ে যান। এই গুরু ভাবধারায় ভারতে ‘গুরুকুল’, ‘গুরু-শিষ্য পরম্পরা’ ও ‘সম্প্রদায়’ ধারা তিনটি বহমান। এখানেই জ্ঞান, বিদ্যা, শাস্ত্র ইত্যাদির সঙ্গে গুরুর সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই গুরু শুধুমাত্র ‘শিক্ষক’ নন, কাউন্সেলর নন, বা মেন্টর নন – গুরু এসব নিয়েই এসবের অধিক। যেমন, ধর্ম অর্থে রিলিজন নয়, ধর্মবিশ্বাস নয়, বা ধর্মমত নয়। ধর্ম তারও অধিক। গুরুও তেমনি। গুরুকে ‘আচার্য’ও বলা হয়। সেইজন্য গুরু-শিষ্যের মধ্যে সম্পর্ক অনেক গভীর, অনেক ব্যঞ্জনাময়, অনেক রহস্যময়। ফলে, আধুনিক তথা পাশ্চাত্য দৃষ্টিভঙ্গিতে ‘গুরু-ব্যবস্থা’ কিছুটা বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।

এখন প্রশ্ন হলো, গুরু পূর্ণিমা কি ও কেন? হিন্দু পঞ্জিকা ‘পঞ্চাঙ্গ’ অনুযায়ী (দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য- তিথি, নক্ষত্র, যোগ, করণ ও বার) আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষে পূর্ণিমা তিথিকে গুরু পূর্ণিমা হিসাবে মানা হয়। কারণ, পুরাণ মতে, এইদিন পঞ্চম বেদ ‘মহাভারত’ রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মনে করা হয়, বেদ, উপনিষদ, পুরাণ- এগুলোর সংকলনকারও বেদব্যাস। সেইজন্য এই পূর্ণিমাকে 'ব্যাসপূর্ণিমা'ও বলা হয়। তাই মহর্ষি বেদব্যাস হলেন ‘ভারতগুরু’।

ধার্মিক জীবনধারায় বৈদিক ভারতে যে ‘তপোবন-কেন্দ্রিক আশ্রমিক’ শিক্ষাদানের ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, তারই পরম্পরায় গুরু শুধুমাত্র একজন শিক্ষক নন, তিনি নিজেই এক ‘প্রতিষ্ঠান-বিশেষ’ হয়ে উঠতেন। তাই, অনেক গুরুকুল গড়ে উঠেছিল এবং গুরু-শিষ্য পরম্পরায় শিষ্যরাও গুরুর ‘উপাধি’ বহন করতেন। আর, এক একটি সম্প্রদায়ও এইভাবে গড়ে উঠেছিল। এইভাবেই বিদ্যা, সংগীত, অস্ত্র, শিল্প, কারুকলা- সব ধরনের শাস্ত্রের ক্ষেত্রেই গুরুকুল ও সম্প্রদায় গড়ে উঠেছিল এবং শিক্ষার্থী তথা শিষ্যরা শিক্ষককে গুরু হিসাবেই মানতেন।

গুরুতত্ত্ব

তত্ত্ব কি? তত্ত্ব বলতে কি বোঝায়? গুরুতত্ত্ব কি? সংস্কৃত ‘তৎ’- Tat – That ধাতুমূলের সঙ্গে ‘ত্ব’- Tva- ness প্রত্যয় যোগে তত্ত্ব- Tattva শব্দটি হয়েছে। Tattva- Thatness অর্থাৎ তত্ত্ব অর্থে ‘যা আছে তা’, ‘নীতি’, ‘বাস্তব’, ‘সত্য’- এ সবই বোঝায়। তাই তত্ত্ব বলতে ইংরেজি অর্থে শুধু ‘থিয়োরী’- Theory বোঝায় না। তত্ত্ব অর্থে বাস্তবতার একটা দিকও- Dimension বোঝায়। আবার, বিশেষ ধর্মবিশ্বাসে তত্ত্ব বলতে ‘দেবতা’ বা ‘আরাধ্যদেব’কেও বোঝায়। এছাড়াও, বিভিন্ন ধর্মমতাদর্শের দার্শনিক ব্যাখ্যাতেও তত্ত্ব অর্থে বিশেষ নীতিকেও বোঝায়।
তাই, গুরুতত্ত্ব হলো গুরু-বিষয়ক তত্ত্ব, গুরুর সম্যক রূপের ব্যাখ্যা, গুরুর স্বরূপ তত্ত্ব।

এখন, গুরুর স্বরূপ কি? বিভিন্ন শাস্ত্র ও ধর্মদর্শনে গুরুকে বিভিন্ন ভাবে দেখা হয়েছে। কখনো আধ্যাত্মিক জগতের পথপ্রদর্শক হিসাবে, কখনো ইহজগতের ভরসাস্থল হিসাবে, আবার কখনো স্বয়ং পরব্রহ্ম/পরমাত্মা/ভগবান-স্বরূপ হিসাবে। গুরুই যেন স্বয়ং ত্রাতা! শিষ্যের সব ভালোমন্দের দায়িত্ব যেন গুরুর নিজের। তাই, ‘বকলমা’ কথাটি চালু আছে। এর সঙ্গে ‘দীক্ষাকরণ’ ও  ‘গুরুকরণ’ এসেছে। এইভাবে এক গুরু-ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এই গুরু-ব্যবস্থায় গুরু তার শিষ্যদের কানে ‘গুরুমন্ত্র’ দিয়ে দীক্ষিত করেন। গুরুকে ধরা হয় ‘আত্মজ্ঞানী’, ‘ব্রহ্মজ্ঞানী’ হিসাবে। গুরু ‘সেই জ্ঞান’ তার শিষ্যদের দান করে তাদের পারমার্থিক জীবনের ‘পাথেয়’ তুলে দেন। গুরুর দেওয়া ‘বীজমন্ত্র’ শিষ্যকে পারমার্থিক পথের মধ্যে দিয়ে ‘মুক্তির পথ’ দেখাবে। এই দীক্ষাকরণ প্রায় সব ধর্মমতের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এখানে মূল বিষয় হচ্ছে ‘বিশ্বাস’। শিষ্যের ‘নিঃশর্ত বিশ্বাস’ গুরুর প্রতি। তবে, প্রশ্ন হচ্ছে, একজনের একাধিক গুরু থাকতে পারে কি?

বলা হয় মানুষের ‘চব্বিশ গুরু’ থাকেন – পঞ্চভূত – ক্ষিতি/পৃথিবী, বায়ু, আকাশ, জল, অগ্নি, চন্দ্র, সূর্য, কপোত-কপোতী, অজগর, সমুদ্র, পতঙ্গ, মধুকর, করিণী (স্ত্রী হাতি), ভ্রমর, হরিণ, মাছ, পিঙ্গলা (বারবনিতা), কুরর (চিল), বালক, কুমারী, শবর (শর নির্মাতা), সাপ, মাকড়সা ও কাঁচপোকা। অর্থাৎ গুরু শুধু মনুষ্য হতে পারেন তা নয়, যাদের আমরা মনুষ্যেতর প্রাণী বলি, তারাও গুরু। এমন কি, ‘প্রাণহীন’ বস্তুও গুরু হতে পারে। প্রত্যেকের কাছ থেকেই মানুষ কিছু না কিছু শেখে এবং জাগতিক, পরজাগতিক তথা আধ্যাত্মিক বিদ্যা ও জ্ঞান লাভ করে। মাতৃগর্ভ থেকেই তো এই পথের শুরু।

বিভিন্ন জনজাতিদের ‘জানগুরু’ থেকে ‘তান্ত্রিকগুরু’ থেকে সাধারণ সমাজের ‘কুলগুরু’, ‘দীক্ষাগুরু’ ‘শিক্ষাগুরু’ ইত্যাদি হয়ে আধুনিক কর্পোরেট জগতের ‘ম্যানেজমেন্ট গুরু’ পর্যন্ত এই গুরু-ব্যবস্থা ও গুরু-সংস্কৃতি বহমান।

এখানেই আরেক প্রশ্ন ওঠে। ভারতীয় ধার্মিক জীবনধারায় নিরীশ্বরবাদীরা কি ‘গুরু’ মানেন না? সত্য হলো এটাই যে, গুরু সবাই মেনেছেন, তা ঈশ্বরবাদী বা নিরীশ্বরবাদী যেই হোন না কেন! আর, সনাতন হিন্দু ধর্মদর্শনের অনেক ধারাই ছিল নিরীশ্বরবাদী। কিন্তু, সবাই গুরুকে মেনেছেন। আবার, অন্যান্য ধার্মিক জীবনধারাতেও গুরু মান্য, পূজনীয় এবং অনুসরণীয়। ‌জনজাতীয়, লোকায়ত ও সাধারণ জীবনযাপনের বহমান ধারায় ‘গুরু’ অবিচ্ছেদ্য হয়ে গিয়েছেন। এই গুরু শব্দটি অনেক সময় ‘কুলপুরোহিত’ বা ‘পন্ডিত’ নামেও মান্যতা পেয়েছে।

গুরুবাদ

‘বাদ’/’-ইজম’ অর্থে একটি বিশেষ ধরনের বা প্যাটার্নের চিন্তাধারাকে বোঝায় যা মূলত একদেশদর্শী এবং বিশেষ মানুষ/মনুষ্যগোষ্ঠীকে সেই বিশেষ চিন্তাধারা, ভাবধারা তথা জীবনচর্চায় দীক্ষিত করে, যা একটি বিশেষ বিশ্ববীক্ষা গড়ে তোলে। গুরুবাদও সেরকম এক বিশেষ বিশ্ববীক্ষা, যা মানুষকে ‘প্রশ্নহীন গুরু-সর্বস্ব’ করে তোলে।

প্রশ্ন হলো, গুরু বলতে শুধুমাত্র ‘আধ্যাত্মিক গুরু’ বোঝাবে কেন? গুরু যে ‘আত্মজ্ঞানী/ব্রহ্মজ্ঞানী’, তার লক্ষণ কি কি? ‘গুরু বিচার’ করার উপায় কি? ‘গুরুকরণ’ ছাড়া ‘মুক্তি’ সম্ভব নয় না কি?

যদি স্রষ্টা এই সৃষ্টির কারণ হয়ে থাকেন, তাহলে সব সৃষ্টির ‘জন্মগত অধিকার’ আছে তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার। সেই সম্পর্কটা স্রষ্টা আর সৃষ্টির মধ্যে একান্ত নিজের ব্যাপার হতে পারে না কি? সেখানে ‘গুরু-মাধ্যম’ অনিবার্য হতে পারে কি? যেসব গুরুকেন্দ্রিক শাস্ত্র গড়ে উঠেছে তার ভিত্তি কি? সেই ভিত্তি কতটা ‘ধর্মের’ সঙ্গে জড়িত? প্রশ্ন অনেক। তবে, কিছু বিষয় পরিস্কার হওয়া দরকার। যেমন, ধার্মিক জীবনধারা তথা দর্শনে এ জগতের সব সৃষ্টিই ‘পবিত্র’ (Sacred); কোনো কিছুই, কোনো জীব, আর মানুষ তো বটেই, ‘অপবিত্র’ (Profane) বা ‘পাপী’ (Sinner)  নয়। মানুষ ‘অমৃতস্য পুত্রাঃ’। সকলেই ‘তার’, যিনি নিজে ‘অমৃতস্বরূপ’, ‘আনন্দস্বরূপ’, ‘চৈতন্যস্বরূপ’, তার সৃষ্টিরা কেন ‘জন্মগত পাপী’ হতে যাবে? ঈশ্বর মানলেও কেউ পাপী নয়, ঈশ্বর না-মানলেও কেউ পাপী নয়। সেই প্রেক্ষিতে গুরু কারো পাপকে কিভাবে দূর করবেন? গুরুকে ‘পথপ্রদর্শক’ হিসাবে মানলেও পথ চলতে হবে ‘নিজেকেই’, যেমন ভাবে এক শিশু আস্তে আস্তে হামাগুড়ি দিতে দিতে দু’পায়ের উপর দাঁড়াতে পারে, পরে চলতে শেখে। মানুষের মনে ‘পাপবোধ’ ঢোকানো, তা যে কোনো ধর্মমতেই হোক না কেন, তা শুধু অযৌক্তিক নয়, তা অমানবিক ও  অধার্মিকও বটে। সেখানেই গুরুর গুরু, পরমগুরুর কথা এসে পড়ে।

পরমগুরু

মাতৃগর্ভ থেকে আমরা শিখতে শুরু করি। ভূমিষ্ঠ হবার পর ‘মা’ই আমাদের প্রথম শিক্ষাদাত্রী। তাই সাধারণভাবে মাতা আমাদের প্রথম গুরু-  মাতৃগুরু। পরে পিতা ও অন্যান্য গুরু- পিতৃগুরু, শিক্ষাগুরু, দীক্ষাগুরু ও অন্যান্য গুরু। আর, ‘পরমগুরু’ কে? ‘তিনি’ গুরুর গুরু, সর্বগুরু, ‘স্বয়ং তিনি’, তাকে যে নামেই ডাকি না কেন, যেভাবেই তাকে দেখি না কেন। তিনি রূপ-অরূপ, ভেদ-অভেদ-নিরপেক্ষ। সে আরেক কথা।

এখানেই প্রশ্ন, জাগতিক বিভিন্ন শাস্ত্রবিদ্যা ও শাস্ত্রজ্ঞান অর্জন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের শিক্ষক তথা গুরু প্রয়োজন হলেও আধ্যাত্মিক বিদ্যা ও জ্ঞানের জন্য গুরুর প্রয়োজন আছে কি? ‘দীক্ষার’ প্রয়োজন আছে কি? না কি মানুষ মাত্রেই ‘জন্মদীক্ষিত’?

আমার কাছে এই প্রশ্নের উত্তর- হ্যাঁ এবং না- দুইই। আত্মানুভূতি (Self-Perception)  তথা আত্মজ্ঞান (Self-Realization) - কার কিভাবে হবে, তা কি বলা যায়? কারণ, তা ব্যাখ্যাতীত। গুরুর ‘নির্দেশিত’ পথে হতে পারে, আবার নিজগুণে নিজচেষ্টাতেও তা হতে পারে। তা নাহলে স্রষ্টার ‘মহিমা’ সাপেক্ষ হয়ে পড়ে! কিন্তু, ‘তিনি’ কারো বা কোনো কিছুর সাপেক্ষ হতে পারেন না। ‘তিনি’ সবসময়ই ‘প্রকাশমান’ (Revealing)। তা নাহলে, এই বিশ্বজগৎ স্তব্ধ হয়ে যেত। তার সেই প্রকাশকে অনুভব করার ক্ষমতা মানুষের ‘স্বতঃসিদ্ধ’ – আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে, আবার ভারতীয় ধর্মদর্শনের দৃষ্টিতেও!

আর, বীজমন্ত্র তো একই – ‘ওঁ তৎ সৎ’! সেই বীজমন্ত্র যার কাছ থেকে যে ভাবেই পাই না কেন! কারণ, ‘পরমগুরু’ কারো সাপেক্ষ হতেই পারেন না।

তবে ‘শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞানম’। এই শ্রদ্ধা যেমন সকল গুরুর প্রতি, তেমনি নিজের প্রতিও অর্থাৎ আত্মশ্রদ্ধা থাকা আবশ্যিক। বিশ্বাস, শ্রদ্ধা আর আচরণ – এই তিনই গুরু-শিষ্যের তথা সমস্ত ধরনের সম্পর্কের ভিত্তি।

তাই, গুরু পূর্ণিমা আমাদের কাছে কৃতজ্ঞতা-স্বীকারের দিন, সশ্রদ্ধ প্রণাম করার দিন – মাতা, পিতা, অন্যান্য গুরুবর্গকে এবং পরমগুরুকে।

ওঁ শান্তি শান্তি শান্তিঃ

@ সুজিৎ রায়
16.07.2019



1 comment:

মানুষ বড়ো একলা

আমার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'মানুষ বড়ো একলা' ই-বুক  প্রকাশিত হলো। নীচে লিঙ্ক: মানুষ বড়ো একলা সবাই ভালো থাকুন।  ড. সুজিৎ রায়